এলোন মাস্ককে তো চেনেন, তাই না?
তাকে চিনবে না এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েতই কম।
হ্যা, এই লোকটি একজন সাউথ-আফ্রিকার বংশোদ্ভূত আমেরিকান উদ্যোক্তা।
তিনি টেসলা, স্পেস এক্স, সোলার সিটি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান সমূহের মালিক।
তার ইস্পাত দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা অবস্থানে নিয়ে গেছে।
যদিও সম্পদের দিক দিয়ে তিনি বর্তমানের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের থেকে অনেক পিছিয়ে, তা সত্ত্বেও একজন এডভেঞ্চারাস উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি অনেকের থেকেই অনেক এগিয়ে।
যাই হোক আমরা যে ব্যবসাই করি না কেন, আমাদের উচিত অন্যন্য সফল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের পসিটিভ গুন্গুলি আয়ত্ত করা।
তাহলে দেখা যাক এলোন মাস্কের কাছ থেকে কি কি শিক্ষণীয় আছে।
৪ টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস!
এই হলো সেই অতীব গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি লেসন্স –
যে কেউই সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে
আজকে যাদেরকে আপনারা অসাধারণ ভাবছেন, তারাও কিন্তু একটা সময়ে এই আপনার-আমার মতোই সাধারণ কেউ ছিল।
আপনি আজ একজন অতি সাধারণ মানুষ মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি আজীবনই সাধারণ একজন থেকে যাবেন।
আপনার ক্রিয়েটিভিটি কে বিকশিত করার চেষ্টা করুন, দেখবেন ধীরে ধীরে আপনিও অসাধারণত্বের পথে পা বাড়াচ্ছেন।
কখনোই ছেড়ে না দেওয়া
আপনি জেনে অবাক হবেন যে এলোন মাস্কের একটা স্বপ্ন ছিল স্পেস এক্স নিয়ে যেটা কিনা বড় বড় বোদ্ধারা অলীক স্বপ্ন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলো, কিন্তু এলোন মাস্ক তার স্বপ্ন থেকে সরে না এসে বরং স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই লেগে ছিল।
সব থেকে অবাক করার ব্যাপার হলো যে স্পেস এক্স এর পর পর তিনটি মিশন ব্যর্থ হয় এবং এতে এলোন মাস্ক প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাবার পথে হাটছিলো।
নিচের ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে কাকে বলে ইস্পাত দৃঢ় মনোবল –

এরপর তিনি ৮ সপ্তাহ পর স্পেস এক্স এর আরেকটি মিশন এ যান ও সফল হন। এবার স্পেস ক্রাফটি সফলভাবে উড্ডয়ন ও ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়
চিন্তা করতে পারেন তিন তিন বার ব্যর্থ হওয়া যার মানে ছিল বিলিয়ন ডলারের লোকসান, এরপরও কোন সাহসে তিনি এগিয়ে গেলেন!
আসলে ছেড়ে না দিয়ে লেগে থাকলে একটা না একটা কিছু হয়।
আপনি একই সাথে অবাক হবেন ও মজা পাবেন এই জেনে যে ওই সফল উড্ডয়নের পর স্পেস এক্স এর ফান্ড প্রায় জিরো হয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু ভাগ্য সহায়! ঠিক পরের দিনই নাসার সাথে স্পেস এক্স এর বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়।
কঠোর পরিশ্রম করা
এলোন মাস্কের কাছ থেকে আরেকটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা বিল্ড আপ করা।
তিনি বলেন যে সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ ঘন্টা খাটতে হলে খাটো, তাহলে অন্যরা যেটা করতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে, তোমার সেটা করতে লাগবে মাত্র একমাস।
পছন্দের কাজটি করা
সব সময় নিজের যে জিনিসটার প্রতি ঝোক আছে, সেটাই করা উচিত আমাদের, কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমস্যা হলো যে তারা ট্রাডিশনাল সিস্টেম এ থাকে সে তা যত বোরিং জিনিসই হোক না কেন।
আপনার পছন্দের কাজটি যদি আপনি করেন, তবে আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করার পরেও মনে হবে যে আপনি ভিডিও গেমস খেলছেন।
অপরদিকে কোনো বোরিং কাজ করলে মনে হবে যে সময়ই পার হচ্ছে না। ফলে আপনার কাজে সাফল্য পাওয়া টাও অসম্ভব হয়ে যায়।
তাই এলোন মাস্কের পরামর্শ অনুযায়ি সেই কাজটিই করুন যেটিতে আপনার প্যাশন আছে।
তো এই হল সেই ৪ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যা এলোন মাস্কের কাছ থেকে আপনার শেখা উচিত।