আসসালামু আলাইকুম
ঘটনাটি সপ্তাহ দুয়েক আগের। ব্যবসার আয় বাড়ানোর জন্য একটি নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম গত মাসে আর এরই সুবাদে আজকের এই কেনাকাটার পোস্ট।
হ্যা, একটি ই-কমার্স সাইট খোলার জন্য এর বিভিন্ন প্রডাক্টের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিলাম কিছু পাইকেরী বিক্রেতার কাছে।
তো একটি প্রডাক্ট ছিল হাত ঘড়ি বা রিস্ট ওয়াচ। হাত ঘড়ির পাইকেরী মূল্য সম্পর্কে জানা ও বিভিন্ন মডেলের হাত ঘড়ি দেখাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য।
অনেক কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা হল ও তাদের কালেকশনে থাকা বিভিন্ন হাত ঘড়ি দেখাও হল।
দেখতে দেখতে এক পর্যায়ে তারা কিছু প্রিমিয়াম ঘড়ি দেখালো যা মূল ব্রান্ডের রেপ্লিকা, কিন্তু ফিনিশিংগুলো খুবই সুন্দর। NAVIFORCE ব্রান্ডের কিছু ঘড়ি তারা আমাকে দেখালো এবং কিছু মডেল দেখে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।
সাধারনত আমি টাইম জোন থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ঘড়ি কিনে থাকি, কিন্তু সেদিন মনে হল যে এই ঘড়িগুলোও তো প্রিমিয়াম লুক দিচ্ছে, তাই আমার ব্যবহারের জন্য কয়েকটি ঘড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।
তাহলে প্রিয় বন্ধুরা, এখন আপনাদের জানিয়ে দেই যে কোন ২ টি ঘড়ি আমি সেদিন কিনেছিলাম।
আমার কেনা ২ টি হাত ঘড়ির মডেল
এই হল সেই দুইটি রিস্ট ওয়াচ –
NAVIFORCE Wrist WatchNAVIFORCE Wrist Watch
এবার দেখুন আমার হাতে ঘড়িগুলো কেমন দেখায় –
আমার হাতে প্রথম ঘড়িটিআমার হাতে দ্বিতীয় ঘড়িটি
আমি জানি যে কিছুটা শ্যামলা বর্ণের হওয়ার কারনে আমার হাতে কালো রঙের ঘড়ি ২ টি অতটা মানায়নি, তারপরও মনে হয় অতটা খারাপ লাগছে না আমার হাতে! কি বলেন আপনারা?
যাই হোক ঘড়িগুলোর লুক সম্পর্কে কিছু কথা বলে নেই। উভয় ঘড়িতেই মেটালের চেইন ব্যবহার করা হয়েছে যা কালো রঙের। ঘড়ি দুটিতে কালো ও সোনালী রঙ ব্যবহার করা হয়েছে যা এর লুকটা অনেকটাই গরজিয়াস করেছে বলে আমি মনে করি।
প্রথম ঘড়িটি এনালগ ও ডিজিটাল উভয় ফিচারসম্বলিত যেখানে দ্বিতীয়টিতে শুধুমাত্র এনালগ ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
দুটি ঘড়িতেই সময়, বার, তারিখ, ও মাস দেখার ব্যবস্থা আছে।
এবার আসা যাক ঘড়িগুলোর দাম নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য।
উক্ত ঘড়িদুটি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে কেনা যাবে। বিভিন্ন অনলাইন ও ফিজিক্যাল শপগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দামে ঘড়িগুলো বিক্রি করে থাকে, তাই আপনি একটু দেখে শুনে কিনতে পারেন।
সবথেকে বড় ব্যাপার হল মোবাইল ফোনের এই যুগে অধিকাংশ মানুষ হাত ঘড়িকে অনেকটাই ইগ্নোর করছে যদিও আমি ঘড়ি ব্যবহার করি এবং আমার মত অনেকেই একটি ঘড়ি হাতে না দিয়ে বের হন না তাদের জন্য একটি মার্জিত ঘড়ি খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যকীয় একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় আর এক্ষেত্রে উক্ত ঘড়িগুলো হতে পারে আপনার পছন্দের।
যাই হোক সবার পছন্দ এক না।
তো বন্ধুরা এই হল আমার ঘড়ি কেনার ইতিহাস।
প্রতি সপ্তাহে ব্লগিং লাইফস্টাইল সম্পর্কিত এরকম অসংখ্য পোস্ট শেয়ার করতে থাকবো।
ভাল থাকবেন এই কামোনায় আজ এখানেই শেষ করছি।
আরো পড়ুনঃ
আরটিকেল লিখে আয় করার উপায়!